গল্পের নাম: অবুজ মনের ভালোবাসা
ধরন: রোমান্টিক, আবেগপ্রবণ
চরিত্র:
- পিকে – একজন নিরব, লাজুক প্রকৃতির তরুণ। গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করে। আবেগ বুঝতে শেখেনি ঠিকঠাক, তবু মন বোঝে ভালোবাসা।
- প্রিয়া – শহর থেকে আসা এক সাহসী মেয়ে, গ্রামের স্কুলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দেয়। সরলতায় মুগ্ধ হয় পিকের প্রতি।
পর্ব ১: প্রথম দেখা
পিকে ক্লাসে পড়াচ্ছিল তখন। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, হঠাৎ দরজায় দাঁড়িয়ে এক তরুণী—ছাতা হাতে। মাথার ভেজা চুল গড়িয়ে পড়ছে গালে।
প্রিয়া বলল, “আমি প্রিয়া, শহর থেকে এসেছি। আজ থেকে এই স্কুলে কিছুদিন পড়াবো।”
পিকে শুধু মাথা নেড়ে অভ্যর্থনা জানাল, কোনো কথা নয়।
প্রিয়া মনে মনে ভাবল, “কী নিরব ছেলে! এতটা চুপচাপ মানুষ এখনও আছে নাকি?”
পর্ব ২: কাছে আসা
প্রিয়া প্রতিদিন স্কুল শেষে পিকের সঙ্গে গল্প করার চেষ্টা করত। পিকে শুধু শুনত, খুব কম কথা বলত, তবে গভীর চোখে তাকাত।
একদিন প্রিয়া বলল, “আপনি এত চুপ কেন?”
পিকে ধীরে বলল, “ভালোবাসা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করি না... চোখে থাকে, কাজে থাকে।”
প্রিয়া বুঝে উঠতে পারেনি তখন, কিন্তু একটা অদ্ভুত প্রশান্তি তার মনে জমা হতে লাগল।
পর্ব ৩: অবুঝ মন
প্রিয়া ধীরে ধীরে বুঝতে লাগল—পিকে তাকে ভালোবাসে। কিন্তু মুখ ফুটে বলেনি কখনও। পিকে শুধু মাঝে মাঝে তার বইয়ের মধ্যে রেখে দিত ছোট ছোট ফুল, আঁকা কাগজ, বা কবিতার লাইন।
একদিন প্রিয়া বলে ফেলল,
“পিকে, আমি আবার শহরে ফিরে যাবো, হয়তো আসবো না আর।”
পিকে মাথা নিচু করে শুধু বলল, “ভালো থেকো... আমি তো অপেক্ষা করবো।”
পর্ব ৪: অনেক বছর পর
প্রিয়া শহরে ফিরে গিয়েছিল। পড়াশোনা, চাকরি, জীবন অনেক বদলে গেছে।
হঠাৎ একদিন গ্রামের পথে বেড়াতে গিয়ে সেই স্কুলের সামনে দাঁড়ায়। একজন বয়স্ক শিক্ষক বই হাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে।
চোখাচোখি হতেই পিকে বলল,
“তুমি... এসেছো?”
প্রিয়ার চোখ ভিজে যায়।
বলল, “অবুঝ ছিলাম, বুঝিনি ভালোবাসা এত নিঃশব্দেও এত গভীর হতে পারে।”
পিকে হাসে, “ভালোবাসা বলে বোঝাতে হয় না… অনুভবে থাকলেই চিরকাল থাকে।”
শেষ
“অবুঝ মনের ভালোবাসা” কখনও ফুরোয় না, সে হয়ত সময় হারায়, কিন্তু হৃদয়ের কোণে চিরকাল বেঁচে থাকে।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন